লামা প্রতিনিধি ::
বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগরে স্বর্ণ চুরির অপবাদে মা ও তার শিশু সন্তানকে মধ্যযুগীয় কায়দায় পেটালেন আজিজনগরের আলোচিত ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দীন। এ সময় স্থানীয়রা তাদের চিৎকার শুনে ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করেন। মা ছেলে বর্তমানে বান্দরবান সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নির্যাতনের শিকার মা ছেলে আজিজনগর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সেলিনা আক্তার (২৭) ও তার শিশু সন্তান মো. সেলিম ওরফে (সুয়াদ) (৯)। নির্যাতনকারী আজিজনগর ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় সেলিনা আক্তারের স্বামী ও সুয়াদের পিতা মো. মোরশেদ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অপরদিকে জসিম চেয়ারম্যানও লামা থানায় চুরির অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি করেন। সুয়াদের পিতা মো. মোরশেদ বলেন, জসিম চেয়ারম্যানের স্ত্রী আমাকে ফোন করে গত শনিবার রাতে দেখা করতে বলেছেন, আমি আর আমার স্ত্রী দেখা করলে আমাদেরকে বলে আমার ছেলে স্বর্ণ চুরি করার অভিযোগ করে আমাদের তিনজনকে মধ্যযুগীয় কায়দায় তারা মারধর করেন। গত রোববার আমাকে সম্পত্তি লিখে দিয়ে ছেলেকে নিয়ে যেতে বলেন। আমরা ৯৯৯-এ ফোন করে ছেলেকে উদ্ধার করি।
তিনি আরও বলেন, গত ২ বছর ধরে আমার ছেলেকে পড়ালেখার কথা বলে নিয়ে গিয়ে ঘরের কাজ করতে দেন চেয়ারম্যান, ঘরের কাজ করালেও দুই বছরে আমাদের কোনো টাকা পয়সা কিছুই দেয়নি। তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আজিজনগর ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন জানান, আমি মারধর করিনি, সুয়াদ আমার বাসা থেকে আমার ছেলের বউয়ের স্বর্ণ চুরি করে লুকিয়ে রাখে। স্বর্ণ চুরির দায়ে আমি থানায় অভিযোগ করি। এসব আমার এলাকার মানুষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মাত্র।
তবে ঘটনা প্রসঙ্গে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম বলেন, নির্যাতিত শিশুর পিতার অভিযোগ মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। অন্যদিকে চেয়ারম্যান স্বর্ণ চুরির অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
উল্লেখ্য, এ ঘটনার প্রতিবাদে গত সোমবার রাতে স্থানীয়রা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এর কিছুক্ষণ পর চেয়ারম্যানের অনুসারীরাও বিক্ষোভ করেন।
পাঠকের মতামত: